আমাদের সম্পর্কে | যোগাযোগ

০৮ সেপ্টেম্বর

২০২৪ রবিবার

নিউজ বুলেটিন: ঢাকার রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি ও অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলে বাড়ছে বায়ুদূষণের মাত্রা।

হরলাল রায় সাগর

প্রকাশিত: ০৬ জুন ২০২৪, ২৩:১৩

আপডেট: ০৬ জুন ২০২৪, ২৩:১৫

১০১

শেয়ার:

রেমাল পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞদের মতামত

News

প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলীয় অঞ্চলে রেখে গেছে তার দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত চিহ্ন। ইতোমধ্যে এর বিরূপ প্রভাব প্রত্যক্ষ করছেন উপকূলের মানুষ। বিশেষ করে লবণ পানিতে দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতির মুখে পড়ছেন উপকূলবাসী। সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে অনেক এলাকায়। রয়েছে পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা। পেশা হারিয়েছেন উপকূলের বহু মানুষ ।

এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সরকারি-বেসরকারিভাবে পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছানো, খাবার ও পানি সরবরাহ, ঘর মেরামতে অর্থসহ জিনিসপত্র দিয়ে সহযোগিতা ছাড়াও যারা পেশা হারিয়েছেন তাদের ক্ষুদ্র ঋণ দেয়ার মতামত দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এ মুহূর্তে ক্ষতিগ্রস্ত পাশে দাঁড়ানোই বড় কাজ। এছাড়া উপকূল রক্ষায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী প্রকল্প গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালে খুলনা অঞ্চলের তিন জেলায় ৬১ কিলোমিটার, বরিশাল অঞ্চলে কমপক্ষে ৪০০ জায়গায় বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নোয়াখালী এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে বহু জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে ১৯ জেলার অনেক নিম্নাঞ্চল। এতে উপকূলের নদ-নদীর পাশাপাশি লোকালয়ে ঢুকে গেছে লবণ পানি। নষ্ট করে দিয়েছে মিষ্টি জলের আধার পুকুরসহ খাল ও ডোবা। এছাড়া জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ে ভেসে গেছে মাছের ঘের। সরকারি হিসাবেই ঘরবাড়ি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩টি। আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি ঘরবাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন। ২৬ মে রাত ৮টায় প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলে আঘাত হানলেও এর প্রভাব শুরু হয় আগের দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকেই। আঘাত হানার পরের দিন (২৭ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত রেমালের প্রভাব খাটায় গোটা দেশে। দীর্ঘ ব্যাপ্তির এ ঘূর্ণিঝড়ে দীর্ঘ মেয়াদী ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছেন উপকূলের বাসিন্দারা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ খুলনা বিশ্ববিদ্যাল এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স ডিসিপ্লিন বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী ভোরের কাগজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে রেমালের স্থায়ীত্ব ও ব্যাসার্ধ (জায়গা) বেশি থাকলেও এর শক্তি সিডর বা আইলার চেয়ে অনেক কম ছিলো। সিডর-আইলায় অনেক মানুষ মারা গেছে। সে তুলনায় রেমালে মৃত্যু সংখ্যা খুবই কম, যদিও একটা মৃত্যুও কাম্য নয়। কিন্তু রেমালের ব্যাপ্তি প্রায় ৫০ ঘণ্টার মতো বিদ্যমান থাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সরকারি-বেসরকারিভাবে সামর্থ্য অনুযায়ী দুর্গত মানুষকে তাৎক্ষণিক সহযোগিতা বিশেষ করে খাবার পানি ও খাবার দেয়া দরকার। দ্বিতীয়ত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিৎ করা দরকার। এ সময়ে পানিবাহিত অনেক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা থাকে। খাবার ও অপুষ্টি মিলিয়ে মানুষ রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সব মহল থেকে স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। 


বিস্তারিত দেখুন রেমাল পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞদের মতামত

ছবি: সংগৃহীত


রেমাল দীর্ঘমেয়াদী ঘূর্ণিঝড় স্বাস্থ্য

মন্তব্য করুন-