আমাদের সম্পর্কে | যোগাযোগ

১৮ অক্টোবর

২০২৪ শুক্রবার

নিউজ বুলেটিন: ঢাকার রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি ও অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলে বাড়ছে বায়ুদূষণের মাত্রা।

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৪৭

আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৪৭

২৯৭

শেয়ার:

কুশিয়ারা পানি যে কাজে লাগবে বাংলাদেশের

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে যে সাতটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে তার একটি হচ্ছে সিলেটের কুশিয়ারা নদীর পানি উত্তোলন সম্পর্কিত। এই চুক্তির অধীনে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ নদী কুশিয়ারা থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি উত্তোলন করবে বাংলাদেশ। এই সমঝোতার মাধ্যমে পানি উত্তোলনের বিষয়টি নিষ্পত্তি হলো।

News

বাংলাদেশের সাথে ভারতের যে ৫৪টি যৌথ নদী রয়েছে সেগুলোর পানি বণ্টন বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে দীর্ঘ দিনের অমীমাংসিত ইস্যু রয়েছে। সেগুলো নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে।

সাধারণত তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি ঘুরে ফিরে হলেও প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরে এই একটি নদী কুশিয়ারার পানি বণ্টনের বিষয়টি বাংলাদেশ বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে দিল্লিতে এই সমঝোতা চুক্তিতে সাক্ষর করেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার। তিনি জানান, যে সাতটি সমঝোতা চুক্তি মঙ্গলবার সই হয়েছে তার মধ্যে প্রথমটিই ছিল কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন সম্পর্কিত। এর আওতায় বাংলাদেশ সিলেটে কুশিয়ারা নদীর রহিমপুর খাল পয়েন্টে প্রতি সেকেন্ডে ১৫৩ কিউসেক পানি উত্তোলন করবে। সুরমা-কুশিয়ারা প্রকল্পের আওতায় মূলত শুকনো মৌসুমে এই পানি উত্তোলন করে তা কৃষি জমিতে সেচের কাজে ব্যাবহার করা হবে। ১৯৯৬ সালে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি হওয়ার এতদিন পর এই প্রথম কোনো অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন বিষয়ে সমঝোতা হলো। কবির বিন আনোয়ার জানান, সমঝোতার ফলে বাংলাদেশ এখনি চাইলে পানি উত্তোলন করতে পারবে। পাম্প হাউজটি প্রস্তুত করতে দু’ থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। বাংলাদেশ দীর্ঘ দিন যাবৎ কুশিয়ারার পানি উত্তোলন করতে চাচ্ছে। ২০১১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ রহিমপুর পয়েন্টে একটি পাম্প-হাউজ ও একটি বাঁধ নির্মাণ করে। সুরমা-কুশিয়ারা প্রকল্প সেটি বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের। সিলেটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ জানান, রহিমপুর পয়েন্ট এই জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে ওই জায়গাটি অনেক উঁচু। যার কারণে বর্ষার মৌসুম বাদে উচ্চতার কারণে শীতকালে বা শুষ্ক মৌসুমে, আমন ধান চাষের সময় এমনকি বর্ষার মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে, পানির লেভেল যখন কমতে থাকে তখন কুশিয়ারা থেকে রহিমপুর খালে আর পানি প্রবেশ করতে পারে না।

বিস্তারিত দেখুন কুশিয়ারা পানি যে কাজে লাগবে বাংলাদেশের

ছবি: ছবি: সংগৃহীত


নদী কুশিয়ারা

মন্তব্য করুন-