তিন দশক আগেও গ্রামগঞ্জের যেখানে-সেখানে শকুনের দেখা মিলত। ঝাঁক বেঁধে শকুনকে মরা গরু খেতে দেখা যেত। এ দৃশ্য এখন বিরল। প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতা প্রাণী হিসেবে পরিচিত এ প্রাণী এখন বিলুপ্তির পথে।
শকুন বাঁচাতে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের প্রথম শনিবার পালন করা হয় ‘আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস’। বন বিভাগের সুফল প্রকল্পের অধীন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) নামে একটি প্রতিষ্ঠান দেশে ২০১৪ সাল থেকে শকুনের পরিচর্যা নিয়ে কাজ করছে।
গবেষকেরা বলছেন, বিরূপ পরিবেশ, নিরাপত্তার অভাব ও খাদ্যসংকটে শকুন বিলুপ্তির পথে। পাশাপাশি পশুচিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাক ও কিটোপ্রোফেনজাতীয় ওষুধের ব্যবহারও শকুন বিলুপ্তির অন্যতম প্রধান কারণ। কারণ, এসব ওষুধ ব্যবহারের ফলে যে পশু মারা যায়, সেগুলো শকুন হজম করতে পারে না। ফলে ওই পশু খাওয়ার এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে মারা যায় শকুন। তাই সরকার পশুচিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাক ও কিটোপ্রোফেনজাতীয় ওষুধ ২০২১ সাল থেকে নিষিদ্ধ করেছে।
আইইউসিএন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুয়ায়ী বাংলাদেশে ২৬০টি শকুন আছে। একসময় দেশে সাত রকমের শকুন দেখা যেত। এখন মাত্র বাংলা শকুনকে দেখা যায়। এ শকুনের জন্য দুটি স্থানকে নিরাপদ আবাসস্থল বলা হয়। তার একটি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বনাঞ্চল রেমা-কালেঙ্গা এবং অপরটি খুলনার সুন্দরবন। ২৬০টি শকুনের মধ্যে ৬০ থেকে ৭০টি শকুন রেমা–কালেঙ্গায় রয়েছে। ২০১৪ সালে যখন আইইউসিএন কাজ শুরু করে, তখন রেমা-কালেঙ্গা বনে শকুনের প্রজননহার ছিল ৪৪ শতাংশ। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৭১ শতাংশ।
বিস্তারিত দেখুন বিরূপ পরিবেশ ও খাদ্য সংকটে বিলুপ্তির পথে
ছবি: ছবি: সংগৃহীত