আমাদের সম্পর্কে | যোগাযোগ

০৮ সেপ্টেম্বর

২০২৪ রবিবার

নিউজ বুলেটিন: ঢাকার রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি ও অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলে বাড়ছে বায়ুদূষণের মাত্রা।

ইসিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১ জুন ২০২১, ১১:৩৫

আপডেট: ০১ জুন ২০২১, ১১:৩৫

৩৮৩

শেয়ার:

পরিবেশ বান্ধব কৃষি প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার জরুরি

News

বাংলাদেশে বছরে এক শতাংশ হারে কমছে কৃষিজমি। এটি চলতে থাকলে ভবিষ্যত কৃষি হুমকীর মধ্যে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে দরকার সমন্বিত কৃষি চাষ পদ্ধতির পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব কৃষি প্রকল্প মডেল ও আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি। আবার কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হলেও সেগুলো কতখানি পরিবেশবান্ধব, সেগুলোও বিবেচনায় আনতে হবে। বাংলাদেশের কৃষিতে এ ধরনের চিন্তাভাবনা একদম করাই হয় না বলে জানান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. এহসানুল কবীর।

এই গবেষক বলেন, কৃষিজমি কমলে নিসন্দেহে আমাদের ফসল উৎপাদন কম হবে। আমাদের সবসময় চিন্তা করতে হবে ফসলি জমি যাতে না কমে। কিন্তু বাড়িঘর, কলকারখানা তৈরির জন্য কিছু জমি নষ্ট হবেই। তারপরও আমরা পরিকল্পিত উপায়ে এটি এ হার কমাতে পারি। যেমন: সমন্বিত উদ্যেগে বহুতল ভবন নির্মাণ করে বসবাস করতে পারি। বাইরের দেশে অনেক আগে থেকে এ ধারণাটি কাজে লাগানো হচ্ছে। বাংলাদেশের মত কম আয়তনের দেশেও বর্তমানে বিষয়টি ভাবার সময় এসেছে। কৃষিতে এখন অনেক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে তবে তা পরিবেশের জন্যও কিছুটা হুমকী হয়ে পড়বে যদি সেগুলো ঠিকমত ব্যবহার করতে না পারি। অনেক সময় মেশিনের জন্য যে এনার্জী/ফুয়েল ব্যবহার করা হয় যেমন ব্যাটারি, ডিজেল মাটির সাথে মিশে মাটির ক্ষতি করে সেগুলো খেয়াল রাখতে হবে।

কৃষি প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কৃষকের পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকতে হবে। আর এ দায়িত্ব তাদেরই বেশি ভুমিকা পালন করা দরকার, যারা এ প্রযুক্তিগুলো মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাবেন। দেখা যায়, কৃষকের যন্ত্রপাতি ব্যবহারের যথাযথ জ্ঞান না থাকায়, একটি যন্ত্র একটানা বেশি সময় ব্যবহার করার কারণে যন্ত্রের কর্মদক্ষতা কমে যাচ্ছে। আবার একটি যন্ত্র কর্মদক্ষতা হারানোর পর ব্যবহার করা হলে সেটি তখন পরিবেশের জন্য হুমকী হয়ে দাঁড়ায়। এগুলো আমাদের ভাবতে হবে। কোন প্রযুক্তি কিংবা যন্ত্রপাতি মাঠ পর্যায়ে ছড়ানো আগে আমাদের অবশ্যই বাজার পর্যালোচনা করতে হবে। বাজারে অথ্যাৎ কৃষকের কল্যাণে কাজে লাগবে এমন প্রযুক্তিই কেবল সম্প্রসারণ করতে হবে। নয়তো উল্টো সেটি আমাদের উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটাবে।

তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় মাটি পরীক্ষা না করেই কৃষক ফসল ফলাচ্ছেন। কিন্তু এটি কোনোভাবেই ঠিক না। কোন জমিতে কোন ফসল উপযোগী সেটিও আমরা মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে জেনে নিতে পারি। তখন সেই ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারি। অন্যদিকে জমিতে অধিক উৎপাদনের জন্য মাত্রারিক্ত সার ব্যবহার করায় মাটির গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে, একইসাথে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। সার ব্যবহারের এ জ্ঞান না থাকার দরুণ প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণ সারেরও অপচয় হচ্ছে বলেও জানান এই গবেষক।

এ গবেষক আরো বলেন, একটা সময় আমরা খাদ্যশস্য উৎপাদনে পরিমাণের উপর জোর দিয়েছিলাম, সেটি বলতে গেলে আমরা সফল হয়েছি। বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দেশে পরিণত হয়েছে। এখন আমাদের খাদ্যমান অথ্যাৎ নিরাপদ খাদ্যের দিকে অগ্রগর হতে হবে। ব্যবহার করতে হবে পরিবেশ বান্ধব কৃষি প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি। 

বিস্তারিত দেখুন অধ্যাপক ড. এহসানুল কবীর বললেন পরিবেশ বান্ধব কৃষি প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার জরুরি

ছবি: কালের কন্ঠ


পরিবেশ বান্ধব কৃষি প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি কৃষক ফসল মাটি পরীক্ষা

মন্তব্য করুন-