আমাদের সম্পর্কে | যোগাযোগ

২০ সেপ্টেম্বর

২০২৪ শুক্রবার

নিউজ বুলেটিন: ঢাকার রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি ও অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলে বাড়ছে বায়ুদূষণের মাত্রা।

প্রথম আলো

প্রকাশিত: ২০ মে ২০২১, ২১:১৭

আপডেট: ২০ মে ২০২১, ২১:১৭

৩১৪

শেয়ার:

এলিফ্যান্ট রোডে বেশি দূষণ, তাজমহল রোডে কম।

২০২০ সালে ঢাকার এলিফেন্ট রোডে বায়ুদূষণ বেড়েছে ৮৩ শতাংশ। ২০১৯ সালে এই এলাকার বায়ুর মান ছিল ২৫০ মাইক্রোগ্রাম। আর গত বছর সেই মান পৌঁছেছিল ৪৫৮ মাইক্রোগ্রামে।

News

২০২০ সালে ঢাকার এলিফেন্ট রোডে বায়ুদূষণ বেড়েছে ৮৩ শতাংশ। ২০১৯ সালে এই এলাকার বায়ুর মান ছিল ২৫০ মাইক্রোগ্রাম। আর গত বছর সেই মান পৌঁছেছিল ৪৫৮ মাইক্রোগ্রামে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, এই এলাকায় সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন। তারপর সেই ময়লা অন্য স্থানে নিয়ে যান। সে কারণে এখানকার বায়ুদূষণ বেড়েছে।

অন্যদিকে তুলনামূলক কম দূষিত এলাকা হলো মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড। এখানে বায়ুর মান ২১৯ মাইক্রোগ্রাম। এই এলাকা আবাসিক হওয়ায়, কোলাহল কম হওয়ায় বায়ুদূষণও খানিকটা কম।এমন তথ্য উঠে এসেছে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ণ কেন্দ্রের (ক্যাপস) এক গবেষণায়। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪ ধাপে ঢাকার ৭০টি স্থানের বায়ুর মান পর্যবেক্ষণ করে গবেষক দলটি। আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

গবেষক দলের প্রধান ছিলেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার। তিনি বলেন, ঢাকা শহরের বেশির ভাগ ধুলা রাস্তার ওপর থেকে সৃষ্টি। এই ধুলার উৎস হলো যানবাহন, রাস্তার খোঁড়াখুঁড়ি ও বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী। এলিফেন্ট রোড ছাড়া নিউ মার্কেট, তেঁজগাও ও আবদুল্লাহপুরে বায়ুদূষণ বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, তেজগাঁওয়ে ভূমির রূপ পরিবর্তন হচ্ছে এবং প্রচুর নির্মাণকাজ চলছে। এ ছাড়া আবদুল্লাহপুরে মেট্রোরেলের কাজ চলায় দূষণ বেড়েছে।মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড ছাড়াও আগারগাঁওয়ের শিশু হাসপাতাল এলাকা ও পল্লবীর ডি ব্লকের ২৩ নম্বর সড়ক এলাকায় বায়ুদূষণ তুলনামূলক কম বলে গবেষণায় বলা হয়েছে। কারণ হিসেবে জানানো হয়, শিশু হাসপাতাল এলাকা কিছুটা নিরিবিলি হওয়ায় এবং পল্লবীর ২৩ নম্বর সড়ক এলাকাটি আবাসিক ও কোনো নির্মাণকাজ না থাকায় সেখানে বায়ুদূষণ কম।

এক প্রশ্নের জবাবে গবেষণা দলের প্রধান আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, গবেষণায় ব্যবহার করা হয়েছে নিউজিল্যান্ডের তৈরি ‘অ্যারোকল’ নামের বায়ু পরিমাপক একটি যন্ত্র। একেকটি স্থানে বছরের বিভিন্ন সময় চারবার করে পরীক্ষা করে বায়ুদূষণের গড় মান উপস্থাপন করা হয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে বাংলাদেশ সচিবালয়ের সামনে, গাবতলী বাসস্ট্যান্ড ও পুরান ঢাকার তাঁতিবাজারে বায়ুদূষণ কমেছে। সচিবালয় এলাকাকে নীরব এলাকা ঘোষণা এবং শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নেওয়ায় সেখানে বায়ুদূষণ কমেছে।


পরিবেশ দূষণ

মন্তব্য করুন-