কৃষকদের অসচেতনতার সুযোগ নিয়ে মাটি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন একশ্রেণির ব্যবসায়ী।
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে কমে যাচ্ছে জমির উর্বরতা।
তবে এ বিষয়ে কৃষকদের অনেকই সচেতন নন। নগদ টাকা পেয়ে অনেক জমির মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। একশ্রেণির ব্যবসায়ী কৃষকদের অসচেতনতার সুযোগ নিয়ে এসব মাটি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তারাগঞ্জে ১২ হাজার ২৩ হেক্টর আবাদি জমি আছে। ৯-১০ বছর ধরে এসব আবাদি জমির উপরিভাগের মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন।
এ সম্পর্কে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঊর্মি তাবাসসুম বলেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে মাঠে ঘুরে কৃষকদের আবাদি জমির মাটি বিক্রি না করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু তারপরও অনেক কৃষক নগদ টাকার লোভে জমির উপরিভাগের মাটি বিক্রি করছেন।
উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে অন্তত ২৫টি ইটভাটা রয়েছে। শীত মৌসুমে এসব ভাটায় ইট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার উপজেলার ইকরচালী, হাড়িয়ারকুঠি, কুর্শা ও আলমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ইটভাটাগুলোয় মাটি কিনে মজুত করা হচ্ছে। সরকারি বিধি মোতাবেক কৃষিজমিতে ইটভাটা নির্মাণের নিয়ম না থাকলেও এসব ইটভাটা নির্মাণের ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি।
বিস্তারিত দেখুন রংপুরের তারাগঞ্জে ফসলি জমির মাটি কেটে ভাটায় বিক্রি
ছবি: প্রথম আলো