হেমন্তের এক বৃষ্টিভেজা দুপুরে মুন্সিগঞ্জের চিতলিয়া নদীতে নৌকায় ঘুরছিলাম। কালীর চরের পাশে নদীর এক জায়গায় পোঁতা বাঁশের ওপর বসে ছিল সোনালি ডানা ও সাদা মাথার একটি চিল।
হেমন্তের এক বৃষ্টিভেজা দুপুরে মুন্সিগঞ্জের চিতলিয়া নদীতে নৌকায় ঘুরছিলাম। কালীর চরের পাশে নদীর এক জায়গায় পোঁতা বাঁশের ওপর বসে ছিল সোনালি ডানা ও সাদা মাথার একটি চিল। আকাশেও উড়ছে এ রকম দু-চারটি পাখি। কোনো কোনোটা বয়সে তরুণ, এখনো রং ফোটেনি। পাখিগুলোকে দেখে কবি জীবনান্দ দাশের ‘হায় চিল’ কবিতাটি মনে পড়ে গেল—
‘হায় চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে
তুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে!
তোমার কান্নার সুরে বেতের ফলের মতো তার ম্লান চোখ মনে আসে!
পৃথিবীর রাঙা রাজকন্যাদের মতো সে যে চলে গেছে রূপ নিয়ে দূরে;
আবার তাহারে কেন ডেকে আনো? কে হায় হৃদয় খুঁড়ে
বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!’
¬কবিতার এই চিল এ দেশের বহুল দৃশ্যমান আবাসিক পাখি শঙ্খ চিল। লাল চিল, খয়েরি চিল, সোনালি ডানাচিল বা চণ্ডীচিল নামেও পরিচিত। ইংরেজি নাম ব্রাহমিনি কাইট। Accipitridae গোত্রের পাখিটির বৈজ্ঞানিক নাম Haliastur indus। এরা বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ও অস্ট্রেলিয়ায় বাস করে।
বিস্তারিত দেখুন হায় চিল, সোনালি ডানার চিল
ছবি: প্রথম আলো