বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত কক্সবাজারের প্যাঁচার দ্বীপের ভেজা বালুচরে হাজার হাজার লাল কাঁকড়ার রাজত্ব-দৌড়ঝাঁপ চলছে। এক একটি কাঁকড়ার ওজন ৩০০-৫০০ গ্রাম। দৃশ্যটি গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটার। বালুচরে দাঁড়িয়ে কাঁকড়ার অবাধ বিচরণের দৃশ্য দেখা গেল। সৈকত–সংশ্লিষ্টরা জানালেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কক্সবাজার সৈকত পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকায় কাঁকড়াগুলোর এমন অবাধ বিচরণ
বালুচরে কাঁকড়ার ‘যম’ মানুষ
বালুচরে খানিক্ষণ দাঁড়ালে বোঝা যায় কাঁকড়ার রহস্যময় জীবন। সেটা কী রকম? সৈকতের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত যত দূর চোখ যায়, দৃষ্টিসীমায় দেখতে পাবেন নানা নকশার আলপনায় আঁকা বিশাল বালুচর। ভেজা বালু দিয়ে ছোট ছোট বল বানিয়ে কাঁকড়ার দল সাজিয়েছে সেই আলপনা। আলপনার ভেতরে-বাইরে গর্ত খুঁড়ে তৈরি করেছে কত শত বাসা। প্রজনন ও নিজেদের লুকিয়ে রাখার জন্য কাঁকড়া গর্ত খনন করে। গর্ত বা বাসার গভীরতা সর্বোচ্চ এক ফুট। জোয়ারের পানিতে অসংখ্য বাসা বিলীন হয়, ভেঙেও যায়। তাতে সমস্যা হয় না কাঁকড়ার। কারণ সামনে যার গর্ত পড়বে, বাসাও তার হয়ে যায়। কার বাসায় কে ঢুকে পড়ছে, হিসাব নেই।
বিস্তারিত দেখুন কক্সবাজার সৈকতের অন্যতম আকর্ষণ লাল কাঁকড়া।
ছবি: প্রথম আলো